মৌলভীবাজারে এডিপি প্রকল্পে অনিয়ম;ফাটল ও ঝুঁকিতে স্কুল ও রাস্তা

প্রকাশিত: ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৫

তিমির বণিক:

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প) আওতায় নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে স্কুল, সড়ক এবং কালভার্টসহ বিভিন্ন স্থাপনায় দ্রুত ফাটল ধরেছে। শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে এই নিয়ে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

 

তালতলা খাগটেকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ঢালাই ছয় মাসের মধ্যেই ফাটল ধরেছে। ক্লাসরুমের মেঝে খোয়া উঠতে শুরু করায় শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে,রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সুমি কনস্ট্রাকশন’।

 

গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের মন্ত্রীগাঁও গ্রামের সিসি ঢালাই রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি,’বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় ঢালাইয়ের গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।

 

এদিকে,ডাকটিলা লালমাটি রাস্তায় নির্মিত কালভার্টেও এক বছরের মধ্যেই প্লাস্টার উঠতে শুরু করেছে। ঢালাইয়ের একাধিক স্থানে ফাটল দেখা গেছে।

 

এলবিনটিলা দূর্গা মন্দিরের ফ্লোর ঢালাই ছয় মাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইভাবে,রাজকি এলবিনটিলা মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে।

 

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ:-

১) সুমি কনস্ট্রাকশন: তালতলা খাগটেকা স্কুলের কাজ।

২) বদরুল ইসলাম: মন্ত্রীগাঁও সিসি রাস্তা ও ডাকটিলা কালভার্ট।

৩) সঞ্জিত দাশ: দূর্গা মন্দির ফ্লোর ঢালাই।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,এই প্রতিষ্ঠানগুলো ঢালাইয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে, যা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

মৌলভীবাজার জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ জানান,“অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই সুরে জুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী সুদর্শন সরকারও বলেছেন,“যেকোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না।”

 

এডিপি প্রকল্পে অনিয়মের কারণে সরকারি অর্থের অপচয় এবং জনজীবনে ঝুঁকির প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।

সিলেট প্রতিদিন/এসডি.