নারী তুমি অহংকারী নয়,প্রেমিকা হও

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

সত্যজিৎ দাস:

নারী ও পুরুষের কাম উত্তেজনা স্বাভাবিক মানবিক প্রক্রিয়া। এটি একটি জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া,যা শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। বিভিন্ন হরমোন,যেমন টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন,এটির জন্য দায়ী। তবে,প্রত্যেক ব্যক্তির কাম উত্তেজনা বিভিন্নভাবে অনুভূত হতে পারে এবং এটি সামাজিক,সাংস্কৃতিক এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপরও নির্ভরশীল।

 

নারী কেন এত দামী,তা জানেন?

এই আধুনিক পৃথিবীতে এখন পুরুষের কাম তাড়না মেটানোর একমাত্র স্থান ঐ নারীই। যদি পুরুষের কাম না থাকতো,তবে নারীর লাল ঠোঁট,তার দীপ্তিময় আবেদন নিয়ে পুরুষ কবিতা লিখতো না।

কিংবা যদি পুরুষের কাম না থাকতো,তবে নারীর স্ফিত বক্ষ, বুকের খাঁজ,আর সুডৌল নিতম্ব পানে আগ্রহ ভরে তাকাতো না। যদি পুরুষের কাম না থাকতো,তবে নারীর দুই উড়ুর মাঝে, ফোলা,মাংসাল গিরিপথ নিয়ে গোপনে এতো চর্চা হতো না।

 

যদি পুরুষের কাম না থাকতো,তবে নারীর প্রতিটি অঙ্গের প্রেম রূপ বিকশিত হতো না। যদি পুরুষের কাম না থাকতো,তাহলে নারীর চুল,চুলের বেণীর সৌন্দর্য নিয়ে নজরুল লিখতেন কি “আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন,দ্বিল ওহি মেরা ফাঁস গেয়ি”

সুতরাং নারী তুমি অহংকারী নয়,প্রেমিকা হও। আর হে পুরুষ, তুমি কামুক থেকে প্রেমিক হয়ে আসো,তখন তোমাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাবে নারী,তার গোপন অন্দরমহলে। যেখানে পুরুষ প্রবেশ করতে চায় বারবার।

 

নারীদের কাম উত্তেজনা পুরুষের তুলনায় বিভিন্ন কারণে আলাদা হতে পারে এবং এটি সাধারণত ব্যক্তিগত,শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক উপাদানগুলির মিশ্রণ। কিছু কারণের মধ্যে রয়েছেঃ

১) হরমোনাল পরিবর্তন: নারীদের শরীরে মাসিক চক্র,গর্ভাবস্থা বা মেনোপজের কারণে হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে,যা তাদের কাম উত্তেজনার মাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন,মাসিক চক্রের বিশেষ কিছু সময়ে কাম উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে।

২) মনস্তাত্ত্বিক এবং মানসিক অবস্থাঃ

নারীদের কাম উত্তেজনা মাঝে মাঝে মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে,যেমন সম্পর্কের মান,আস্থা,নিরাপত্তা অনুভূতি ইত্যাদি। মানসিক চাপ বা উদ্বেগও কম বা বেশি কাম উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

৩) শরীরের পরিবর্তন ও অনুভূতিঃ

নারীরা সাধারণত সংবেদনশীলতা অনুভব করে,যা শারীরিক এবং মানসিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে। মনের মধ্যে প্রলোভন বা সম্পর্কের গভীরতা কাম উত্তেজনায় প্রভাব ফেলতে পারে।

৪) সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবঃ-

নারীদের কাম উত্তেজনা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও প্রভাবিত হতে পারে। কিছু সমাজে নারীকে প্রকাশ্যে কাম উত্তেজনা নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকে,যা তাদের অনুভূতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়া,প্রতিটি নারী আলাদা,তাই তাদের কাম উত্তেজনা বিভিন্ন কারণেও ভিন্ন মাত্রায়,এমনকি আবহাওয়াগত কারণে ভিন্ন অনুভূত হতে পারে।

সিলেট প্রতিদিন/এসডি.